Skip to main content

Posts

হাওয়ার মানুষ

'হাছন রাজা হাওয়ার মানুষ যাইতেছে উড়িয়া হাছন রাজারে বাইন্ধা রাইখো মনের জিঞ্জির দিয়া।' কে এই হাওয়ার মানুষ? সে কোথায় উড়ে যেতে চায়? তাকে মনের জিঞ্জির দিয়েই কেন একমাত্র বেধে রাখা যায়? 
Recent posts

Songs and Souls

Fascination with poetic and deep lyrics is one of the major factors behind my superfluous love for music.   It’s truly rare to find these songs among the waves of mediocrity. So, I’m going to keep track of these songs whenever I find one of them by writing about them and how they made me feel.  1. What was it you wanted? By Bob Dylan The feeling that I get when I discover a new Dylan song that clicks with me, there’s nothing like it. This song like most of Dylan’s songs is becoming more relevant now than the time it was written in. Our reduced attention span and lack of empathy both are now almost defining characteristics of a generation that is both blessed and cursed by the interconnected world of tech consumerism and virtual social networks. So when the most prolific singer songwriter of twentieth century said ‘What was it you wanted?’, we can easily relate to the distractions of modern world and the eccentricities of creative minds intertwined. The great Bob Dylan a

পাতার পর পাতা, ভরে গেছে খাতা

রাতগুলো দিন আর দিনগুলো রাত হয়ে গেছে, কর্মকান্ড হিসেব করলে দিন বলে কিছু নেই আর, পুরোটাই রাত অথবা পুরোটা সময় কাটে রাতের মত করে অথবা রাতের অপেক্ষায়। ঘুম আর জেগে থাকার ভেতরের খুব স্পষ্ট এবং খুব মজবুত দরজাটা ভেঙে গেছে, এখন পুরোটাই আধেক ঘুম, আধেক জাগা এক স্বপ্ন স্বপ্ন জগৎ। গান, কবিতা, উপন্যাস হয়তো নয় কিন্তু সব ভিজ্যুয়াল আর্ট এই জগাখিচুড়ী মগজে খুব ভালো খেলে, অনেক মূল্যবান মতামত সহসা পাওয়া যায় যা হয়তো সাধারন মেন্টাল স্টেটে সম্ভব হইতো না অথবা অনেক সময় লাগতো এবং অনেক ভাবনা চিন্তা করা লাগতো। কিন্তু এই অবস্থায় অথবা অবস্থানে গীটারের একটা নোট কিংবা আলোর সূক্ষ পরিবর্তন, সবই খুব স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করে, হয়তোবা বাস্তব জগতের চেয়ে একটু ধীরে চলে অথবা আমার কাছে প্রথাগত সময় হয়তো একটু স্লথ। নিশ্চিতভাবে এইটা জানার কোনো উপায় নাই আর সেইটাই এর মজা, অনিশ্চয়তার মাঝে এক নিরাপদ আবার হাল ছেড়ে দেওয়া নিশ্চয়তা। যাদুবাস্তবতার লেখকেরা কি এই অবস্থায় গিয়ে তাদের গল্পগুলো, গল্পের অলৌকিক উপাদানগুলো চাক্ষুষ দেখেছে?

Being Free

Chapter One: Origin My two grandfathers, maternal and paternal, were completely opposite in terms of their characters and personality traits. Being the more affluent and renowned house between the two, my mother’s side of the family always held greater control and it was justified too because of the material support we were given by them. I come from a place that is full of river, canals and ponds all around and yet I share very little connection with the water. My village is full of hard working people and their concern for just living overshadowed all the other needs that our modern world has come to manufacture. A hard day’s work, a belly full of rice and a good night’s sleep, that’s all they need. Among these sunburnt dark muscular folk, there were a few exceptions and my two grandpas belonged to that group. I called my maternal grandfather ‘ Dadu ’, which truly sounds a lot more affectionate and intimate than ‘ Vai ’, which I used to call my paternal grandfather. Dadu w

চরাচর

দুপুর শেষ হতে না হতেই কেমন রাতের মত অন্ধকার হয়ে গেল সব, একটা বিকেল হারানোর দুঃখে অথবা বাসায় কোনো দিয়াশলাই না থাকার অক্ষম রাগে শরীফ রাস্তায় বের হল এবং সাথে সাথেই সে বুঝতে পারল দেশে কোন একটা কিছু ঘটে গেছে যা সে মিস করে গেছে। রাগটা আরো বাড়ল সাথে খুব অল্প একটু মনের কোনায় লুকিয়ে থাকা ভয় বের হতে শুরু করল, সিগারেটের প্যাকেটে আধখাওয়া পোড়া সিগারেট কিংবা জয়েন্ট রেখে দিলে যেরকম বিশ্রী একটা গন্ধ হয়, সেরকম একটা গন্ধ শরীফের নাকে আসতে লাগল। রাগ আর ভয় খুব কাছাকাছি জিনিস, একটা আসলে আরেকটা বেশী দূরে থাকে না। দমকা একটা কালবৈশাখীর মত বাতাস এসে শরীফের বাচ্চাকালের অনেকগুলো স্মৃতি মাথায় ঝাপটা দিয়ে গেল। বাতাস তার জন্যে একটা ট্রিগারের মত, অনেক কিছু চলে আসে এ বাতাসের সাথে, দুলাইন কবিতাও লিখেছিল সে বাতাস নিয়ে "এ বাতাসে মনে আসে সহস্র বছরের ক্লান্তি নিখাদ শেষ বিকেলের মরা আলোয় ভেসে আসে অভিমান বিষাদ।" খুবই অমৌলিক কবিতা, সে নিজে খুশী হতে পারে নি এটা লিখে কিন্তু তার দুয়েকজন বন্ধু যারা কবিতার কোনো ক ও বোঝে না, তারা খুব বলছে 'আরে মামা তোমারে দিয়া তো হবে, আইজ হোক কাইল হোক, তোমার কিছু একটা হবেই।' নিজ

শুরুর কথা

কাব্য মানুষ পায় আর গদ্য বানায়। গদ্যের কলাকৌশল রপ্ত করতে অনেক মহান সাহিত্যিকদেরও পরিশ্রম করতে হয়েছে। তবে ভাষার খোল নলচে পালটে দেয়ার মত গদ্য লিখতে পারলে তা মহান একটি কবিতা রচনার মতই সন্তোষজনক হবে বলেই আমার ধারনা। শৈশবে হুমায়ুন আহমেদ, জাফর ইকবাল, কৈশোরে শীর্ষেন্দু আর সুনীল, বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডী পেরোনোর পর আখতারুজ্জামান ইলিয়াস আর শহীদুল জহির এদের গদ্য আমাকে করেছে বিমোহিত। বিশেষ করে শেষ যে দুজনের কথা বললাম তাদের লেখা পড়ার সময় আমি প্রথম গদ্যের সাহিত্যরসের খোঁজ পেয়েছি। ইলিয়াসের 'চিলেকোঠার সেপাই' আমি যখন অষ্টম শ্রেনীতে ছিলাম তখন লাইব্রেরী থেকে নিয়েছিলাম কিন্তু কয়েকপাতা কষ্ট করে পড়ার পর আর আমাকে টানেনি। এখন বুঝি যে ইলিয়াসের গদ্য বোঝার বয়স বা মানসিক পরিপক্কতা তখনও আমার ছিল না। তার বহুকাল পরে এক বন্ধুর বুকশেলফে 'লিটল ম্যাগাজিনের গল্প সঙ্কলন' বইয়ে ইলিয়াসের 'খোঁয়ারি' গল্পটা পড়ি আর গদ্যের প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসার জন্ম হয়। হালের যাদুবাস্তবতার সাথে আমার পরিচয় হোসে লুই বোর্হেস এর গল্প দিয়ে, কিন্তু এই ধারায় যে একজন বাংলাদেশী লেখক সুবিশাল উচ্চতায় আরোহন করেছেন তা শহীদুল জহির এর লে